খেলা চলাকালিন সময় মাঠে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে খবরের শিরোনাম হলেন মাহমুদুল্লাহ



স্পোর্টস আপডেট ডেস্ক: বল-ব্যাটের লড়াইকে পাশ কাটিয়ে শেষ দিকে আলোচনার টেবিলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেট শিকার কিংবা সতীর্থকে উইকেট পেতে সহায়তা নয়। মাঠে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েই খবরের শিরোনামে রিয়াদের নাম।
বল ধরতে গিয়ে মাটিতে ড্রাইভ। মনের অজান্তেই পরনের ট্রাউজার কিছুটা খুলে গেল। ক্যামেরার চোখও সেদিকে। নিজে হাসলেন, সবাইকে হাসালেন মাহমুদউল্লাহ। ক্রিকেট মাঠে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। তারপরও ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ দিনে মজার এই মুহূর্তটা বেশ উপভোগ করল সমর্থকরা।
এদিকে, টম ল্যাথাম আর নেইল ব্রুমের ব্যাটিং দেখে একটা সময় মনে হচ্ছিল রান সাতে ৩শ অতিক্রম করবে কিনা! ২৩ রানে মুস্তাফিজের কল্যাণে প্রথম উইকেট হারানোর পর ১৩৩ রানের বিশাল জুটি গড়লেন দুজন। এজন্য টাইগার ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের অবদান অনস্বীকার্য।
কিন্তু ম্যাচের মোড়টাই ঘুরিয়ে দিলেন বহুদিন পর দলে ফেরা নাসির হোসেন। জোড়া আঘাতে ব্রুম-ল্যাথামকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেন। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব অধিনায়ক মাশরাফি এবং গোটা সিরিজে নিষ্প্রভ থাকা সাকিব আল হাসানের। অবদান আছে রুবেলেরও। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়াল ২৭০ রান। নিশ্চয়ই এটা জয়ের জন্য অসম্ভব টার্গেট নয়?
ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ সবুজ উইকেটে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মাশরাফি বিন মুর্তজার বাংলাদেশ। কিউই দূর্গে প্রথম আঘাত হানেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। গত ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও তিনি শুরুতেই তোপ দেগেছিলেন। আজ তার প্রথম শিকার হয়ে সাকিব আল হাসানের তালুবন্দী হয়ে ফিরেন লুক রঞ্চি (২)। কিন্তু এরপরেই শুরু হয়ে যায় ক্যাচ মিসের মহড়া! একের পর এক সহজ ক্যাচ মাটিতে পড়তে থাকে! নাসির, মোসাদ্দেকের পর ভালো ফিল্ডার হিসেবে পরিচিত সৌম্য সরকারও ক্যাচ ছাড়লেন।
অবশেষে নাসিরের বলে নেইল ব্রুমের দেওয়া দারুণ একটা ক্যাচ লুফে নিয়ে ক্যাচ মিসের ধারাবাহিকতায় ইতি টানলেন টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৭৬ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬৩ রান করা নেইল ব্রুম ল্যাথামের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৩ রানের বিশাল জুটি গড়েছিলেন। পরের ওভারে ল্যাথামকেও (৮৪) বোল্ড করে দেন নাসির। টাইগার শিবিরে যেন নতুন উদ্যম ফিরে আসে। কোরি অ্যান্ডারসনকে (২৪) মাহমুদ উল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন সিরিজজুড়ে নিষ্প্রভ থাকা সাকিব আল হাসান। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব টাইগার ক্যাপ্টেনের। ম্যাশের বলে টাইমিং মিস করে মাহমুদ উল্লাহর সহজ ক্যাচে পরিণত হন জেমস নিশাম (৬)।
দ্রুত উইকেট পতনে ম্যাচের রাশ টেনে ধরতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। মাশরাফি-সাকিব যেন উইকেট উৎসবে মেতে ওঠেন। ফিরতি ওভারে বোলিংয়ে এসে স্যান্টনারকে ০ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে কলিন মুনরোকে ১ রানে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দী করে বিদায় করেন মাশরাফি। উইকেট উৎসবে যোগ দেন রুবেল হোসেনও। ম্যাট হেনরির (৫) স্টাম্প ছত্রখান করে দেন তিনি। এর আগেই অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অভিজ্ঞ রস টেইলর।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ক্রিকেট খেলার জন্ম কোন দেশে ? কবে এবং কিভাবে শুরু হয় তার ইতিহাস !

প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ডবুকে তামিম